ঈশা বাস্যমিদৃং সর্বং যত্কঞ্চ জগত্যাং জগত্ ।
তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা মা গৃধঃ কস্য স্বিদ্ধনমৃ ।।
(ঈশ উপনিষদের প্রথম শ্লোক)
এখানে তিনটি জিনিষ বলা হচ্ছে:
১/ অখিল ব্রহ্মান্ডে জড় বা চেতন সব কিছুতেই ঈশ্বর ব্যাপ্ত ।
২/ অহং ত্যাগ করে ভোগ কর ।
৩/ লোভ কর না ।
ঠাকুর বলতেন 'জগৎ চৈতন্যময়'। অর্থাৎ ব্রহ্ম সত্য, জগৎও সত্য। মায়া নয়, লীলা। ঠাকুরের ভাষায় 'লীলাপোষ্টাই'। ঠাকুরের 'জ্ঞান-বিজ্ঞান' দর্শন শঙ্করের মায়াবাদকে ছাড়িয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে। আমার মধ্যে যদি ঈশ্বর স্বয়ং অবস্থান করেন তাহলে আমি বাস্তব তো বটেই, নিছক স্বপ্ন হৈ কিভাবে? এটা ইশ উপনিষদেরই কথা। গুরুর কথা ধরেই স্বামীজী তাঁর দ্বিতীয় Practical Vedanta বক্তৃতায় বলছেন, 'And this is the real, practical side of Vedanta. It does not destroy the world, but it explains it; it does not destroy the person, but explains him; it does not destroy the individuality, but explains it by showing the real individuality. It does not show that the world is vain and does not exist, but it says, "Understand what this world is, so that it may not hurt you.".... The theme of the Vedanta is to see the Lord in everything, to see things in their real nature, not as they appear to be.' (CW 2:312)