হিন্দুত্বের মধ্যে right wing conservatism বলে কিছু নেই। কেউ যদি সত্যিকারের হিন্দু হন, তিনি সারাক্ষনই evolve করবেন কারণ একমাত্র continuous evolutionই তাঁর এত হাজার হাজার বছর ধরে প্রাসঙ্গিক থাকার একমাত্র চাবিকাঠি। Conservatism মানে এমন একটা ধারণা যে xyz যা কিছুই তৈরি হয়েছে তা অসাধারণ, তাকে ঠিক সেই রূপেই সংরক্ষণ করতে হবে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এর থেকে ঠিক একইমাত্রায় সুখ বা শিক্ষা enjoy করতে পারে।
এই যে ইউরোপের রাজারাজরাদের guardরা সব মান্ধাতার আমলের পোশাকআশাক পরে আজও কুচকাওয়াজ করে বেড়ান, এতে সে যুগের imperial power projectionকে আজকের গণতান্ত্রিক যুগেও সেসব দেশের লোকেদের মনে একটা ভ্রান্ত superiority complex তৈরি করতে ব্যবহার করা ছাড়া আর কি কাজে লাগে জানিনা।
Right wing মানে সবকিছুই written in stone - সংগীত, নৃত্য সবকিছুই লিখিত, evolve করার কোনো স্থান নেই। ধরা যাক বিটোফেন - উনি ওনার সমস্ত সিম্ফনি যে ভাবে লিখে গেছেন আজকের যুগেও ঠিক সেভাবেই কমা ফুলস্টপসহ পড়ে পড়ে বাজানো হয়, হাজার বছর পরেও হবে। আর এখানেই হিন্দুত্বের মূল ধারার সাথে right wing conservatism এর মূল পার্থক্য।
দরবারী কানারা তানসেনও গেয়েছেন, উস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খানসাহেবও গেয়েছেন, আজকের যুগে উস্তাদ রশিদ খানও গান - কোনোটাই একরকমের নয়। রাগের structureটা এক কিন্তু কিভাবে সেটা বিস্তার করবেন, কতক্ষনের আলাপ, কখন তানকারি, কিভাবে শেষ করবেন সেটা সম্পূর্ণ শিল্পীর নিজস্ব স্বাধীন চিন্তা ও ঘরানার ফসল, কোনো ধরা বাঁধা কিছু নেই।
ঠিক একই characteristic হিন্দুদের বিভিন্ন দর্শনের evolutionএর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য - কখনো একটা অন্যটার antithesis, কখনো বা নানা মতের synthesis, কখনো atheism, কখনো monotheism - ফলে সারাক্ষন সমাজজুড়ে সংবাদ ও মতের আদানপ্রদান চলতেই থাকে কিন্তু তা কখনোই বিবাদে পরিণত হয়না কারণ এই সংবাদের সাক্ষী হিসেবে হিন্দুর মনে একইসাথে বিভিন্ন viewpointএর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়, যা one God, one Book, one Prophetএর conservatismএর একেবারে বিপরীত।
আমেরিকায় White conservative Christian জাতীয়তাবাদীরা সাধারণত Republican Partyর সদস্য হন কারণ তাঁদের মনের মধ্যে কোথাও যেন একটা White supremacyর ভূত লুকিয়ে থাকে - আমরাই বন্য স্থানীয়দের মেরে ধরে তাড়িয়ে নিজেদের বুদ্ধির জোরে আমেরিকাকে আমেরিকা বানিয়েছি। আর উল্টোদিকে যাঁরা সাম্যে বিশ্বাসী, তাঁদের Democrat বলা হয় এবং যেহেতু তাঁরা conservative নন, ফলে আমেরিকার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের left wing বলা হয়ে থাকে। ইদানিং অবশ্য আমেরিকাতেও ঝোলাওয়ালারা ঢুকে পড়ে post truth এর আড়ে leftismকে ultra leftismএর দিকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে, কিন্তু সে অন্য প্রসঙ্গ।
এখন মুস্কিল হলো, যেহেতু ওখানে White Christian জাতীয়তাবাদীরা অধিকাংশই right wing conservative, তার সাথে তাল মিলিয়ে, হিন্দুত্বকে না জেনে না বুঝে, ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদেরও right wing বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়, যা হিন্দুত্বের মূলধারার সাথে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আসলে এ দেশে হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি উদার এবং constantly evolving আর যাঁরা তথাকথিত left wing, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি গোঁড়া, অপরিবর্তিনশীল এবং prejudiced কারণ ওই একই - one God - সর্বহারার একনায়কতন্ত্র, one book Das Capital আর one Prophet Karl Marx।
ফলে, ভারতে সত্যিকারের conservative হলেন তথাকথিত বামপন্থীরা কারণ তাঁদের tunnel vision - একমুখী, একপেশে, এঁড়ে। আর সত্যিকারের left wing হলেন হিন্দুত্ববাদীরা, যাঁরা বহুমুখী, সমাবেশী, উদার - যাঁরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চান, যাঁরা দিনে পাঁচবার তারস্বরে নিজেদের পন্থীয় বিশ্বাসের সরাসরি বিরোধিতা শুনেও এ কান দিয়ে ঢুকিয়ে ও কান দিয়ে বের করে দেন। স্বভাবতই ভারতীয় ভন্ড বামপন্থীরা যেহেতু হিন্দু সভ্যতার মূল সর্বসমাবেশী existential ethosএর বিরোধী কারণ 'নানা মুনির নানা মত' তাঁদের স্বপ্নের one party systemএর ধারণার পরিপন্থী, তাঁরা ভারতীয়দের ছোট ছোট ভাগে ভেঙে নিজেদের isolated circles of influence গড়ে তুলতে চান, এবং মনে করেন একদিন এই সমস্ত বিচ্ছিন্ন গ্রুপকে একত্রিত করে তাঁরা হিন্দু ভারতের অহিন্দু শাসক হয়ে উঠবেন। তাই কখনো দলিত, কখনো আদিবাসী, কখনো শ্রমিক, কখনো কৃষক, কখনো সমাজের পিছিয়ে পড়া কোনো section অথবা এমন কোনো গোষ্ঠী যাঁদের কোনো false sense of entitlement-জনিত ক্ষোভ বা খিদে আছে, তাঁদের মধ্যে এঁরা নিজেদের প্রভাব কায়েম করতে চেষ্টা করেন।
এদেশের ভন্ড বামপন্থীরা সমাজকে ভাঙতে চান কারণ হিন্দুত্বের সর্বংসহা আপন-করে-নেওয়া বিপরীত আবহে ওটাই ওঁদের টিকে থাকার একমাত্র উপায়। এই প্রয়াস ব্রিটিশ আমল থেকেই করা হয়েছে, যখন থেকে caste based census থেকে নিয়ে seperate electorate অবধি নানা বিভাজনকারী tools সৃষ্টি করা হয়, যার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি ছিল দেশভাগ। ওই একই প্রয়াস ব্রিটিশদেরই তৈরি করা একটি রাজনৈতিক দলের হাত ধরে এখনো এ দেশে সংগঠিত হচ্ছে, যার মন্ত্রণা দিচ্ছেন এখনকার ঝোলাওয়ালারা। এই যে সেদিন বারাক ওবামা আবার নতুন করে ভারতভাগের সম্ভাবনার কথা বললেন, সেটা ওই একই ভারতীয় ভন্ড বামপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতার প্রতিফলন।
ভারতে এই মুহূর্তে যে রাজনৈতিক লড়াইটা হচ্ছে সেটা আসল উদার সাম্যবাদী হিন্দুত্বের সাথে সংকীর্ণ ভন্ড বামপন্থার। অবশ্যই এই লড়াইয়ের মধ্যে দুদিকেই নাম ভাঁড়িয়ে সপরিবারে কিছু চোর ডাকাত বাটপারও ঢুকে পড়েছে যাদের যুযুধান দুপক্ষের মতাদর্শের সাথে কোনো লেনদেন নেই, তালেগোলের বাজারে যদি ফোকোটে কিছু কামিয়ে নেওয়া যায়, সেটাই একমাত্র ধান্দা। অন্যভাবে দেখতে গেলে লড়াইটা শাশ্বত ভারতের সাথে অসাম্যবাদীদের লড়াই, জাতীয়র সাথে বিজাতীয়র লড়াই, ধর্মের সাথে অধর্মের লড়াই। এ লড়াই হিন্দুদের কাছে নতুন নয়, কয়েক হাজার বছর ধরে এই একই লড়াই তাঁরা লড়ে চলছেন এবং এখনো অবধি বহুলাংশে সুরক্ষিত এবং অপরিবর্তিতই থেকেছেন। আসলে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির fundamentals এতটাই strong যে একে কমতর কোনো idea দিয়ে damage করা যায়না। আমাদের চেয়েও উন্নত কোনো idea যদি কেউ আনতে পারেন তখন না হয় ভেবে দেখা যেতে পারে কিন্তু ততক্ষন অবধি সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস ঔর সবকা বিশ্বাসই চলবে। সর্বে ভবন্তু সুখীনঃ। সর্বে সন্তু নিরাময়াঃ। সর্বে ভদ্রাণি পশ্যন্তু মা কশ্চিৎ দুঃখভাগ্ভবেৎ।।