Tuesday, February 1, 2022

রাখাল মহারাজ

 বাজেটটা এতক্ষনে ভালোভাবে পড়লাম। আমাদের দেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ নিয়মিতভাবে কেনাকাটা করেন কারণ তাঁরা অধিকাংশই organised sector-এ কাজ করেন, তাঁদের একটা stable income আছে। বাকিদের কিন্তু নেই, তাঁদের খরচ সম্পূর্ণভাবে income নির্ভর - মানে রোজগার হলে খরচ করেন, না হলে করেন না। এর মধ্যেও আবার State to State family spending rate vary করে, manufaturing States-এর বাসিন্দারা অপেক্ষাকৃতভাবে বেশি consistent, ওখানে unorganised sector-ও যেহেতু organised sector-এর সঙ্গে জুড়ে থাকে, ফলে steady income-এর একটা parity আছে। পশ্চিমবঙ্গের মতন trading States এ stable income-এর কোনো স্থিরতাই নেই। Service sector-এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। Service কথাটা শুনলেই আমাদের IT-র কথা মনে পড়ে কিন্তু এখানেও organised sector-এর থেকে unorganised sector অনেক বড়, যেমন electrician, plumber ইত্যাদির সংখ্যা IT ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যার থেকে অনেক অনেক বেশি। এঁদের রোজগার সরাসরি গ্রাহকের চাহিদার ওপর নির্ভরশীল, যা আবার বকলমে তাঁদের income stability-র ওপর নির্ভরশীল। কৃষি নিয়ে গতবছর এত বেশি কচাকচি হয়েছে যে ঐ সেক্টরের সমস্যা দেশের মানুষের আর জানতে বাকি নেই, ওটাও পুরোপুরি unorganised। এতদিন ধরে তাই ভারতের অধিকাংশ মানুষের standard of living-এ মারাত্মক যুগান্তকারী পরিবর্তন কিছু হয়নি, সময়ের সাথে সাথে technology বদলেছে, aspiration বদলেছে আর তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এতদিন মোটামুটি generic improvement-ই হয়েছে - অধিকাংশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্তরে wealth creation প্রায় হয়েইনি। 


আজকে যে বাজেট পেশ হয়েছে, তাতে মূলতঃ ওই বাকি ১১০ কোটি জনতাকেই টার্গেট করা হয়েছে। কেন বলছি, দুএকটা উদাহরণ দিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এতদিন আমাদের revenue expenditure ছিল মুখ্য আর capital expenditure ছিল গৌণ। অর্থাৎ মাইনে, পেনশন ইত্যাদিতে এত বেশি টাকা খরচ করা হতো যে mass scale-এ social asset তৈরি করার মতো যথেষ্ট টাকাই থাকতো না। এবারে দেখলাম capital খাতে বাজেটের প্রায় ১৮% ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে, যা ২০০৯-১১ অবধিও ৯% এর উপরে উঠতোই না। এর আগে কোনোদিন শুনিনি যে একসঙ্গে ১৯টা নতুন বিমানবন্দর বা একসাথে ৪০০ টা নতুন বন্দেভারত ট্রেন বা একবছরে ২৫০০০ কিমি নতুন হাইওয়ে তৈরি হবে। এটা যুগান্তকারী এবং এর ফলে ভারত সত্যি সত্যিই বদলাতে শুরু করবে, অর্থাৎ দেশের প্রগতি অনেকবেশি visible হবে এবং এই scale-এ social asset creation হলে বহু মানুষের income stability-ও বাড়বে। দ্বিতীয়, যেমন defence sector। এই যে সরকার প্রতিরক্ষার দরজা private player-দের কাছে খুলে দিলেন এবং তাদের R&Dতে সরকার টাকা লাগাবেন ঘোষণা করেছেন আর প্রতিরক্ষার চাহিদার ৬৮% মাল দেশের manufacturer-দের কাছ থেকেই কেনার নির্ণয় নিয়েছেন, এতে net importer থেকে net exporter হতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। আর এতে organised sector তো আরো বাড়বেই, সেই সাথে আরো অনেক মানুষের stable income-ও। সরকার এই বাজেটে আরো অনেক কিছু ঘোষণা করেছেন, যার সুদূরপ্রসারী impact হবে। এই যেমন ধরুন গঙ্গার দুপারে ৫ কিলোমিটার অবধি প্রাকৃতিক ক্ষেতের বিষয়টা - এতে গঙ্গার দূষণ কতগুণ কমবে ভাবা যায় না, যা এতদিন এত চেষ্টা করেও করা যায়নি। বাজেটে এমন অনেক nuances আছে, খুঁটিয়ে পড়লে চমকৃত হতে হয় কিন্তু অত কিছুর মধ্যে আর ঢুকলাম না। যাঁরা personal income tax নিয়ে গাল ফোলাচ্ছেন, তাঁরা ১৩০ কোটির মধ্যে মাত্র ১.৫ কোটি। বাকি, দুবছর ধরে সরকারকে যখন ৮০ কোটি লোককে বিনি পয়সায় খাওয়াতে হয় আর ১৩০ কোটি লোককে বিনি পয়সায় ভ্যাক্সিন দিতে হয়, তখন standard deduction যে কমে যায়নি এবং slab-এ বা rate-এ যে কোনো পরিবর্তন হয়নি, এই অনেক ভাগ্যি।


শেষে একটা কথা না বললে অন্যায় হবে। এখন দেশে ২০ কোটি মানুষ consistently consume করেন, তাতেই আমরা পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। Organised sector-কে খুব দ্রুতহারে বাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে আর বাতিল হয়ে যাওয়া কৃষি আইনগুলোকে একটু শুধরে বলবৎ করার পর এই সংখ্যাটা যখন ১০০ কোটি ছাড়াবে, তখন কি হবে আন্দাজ করা যাচ্ছে কি? আমরা না করলেও, প্রধানমন্ত্রী যে অনেক আগেই করেছেন, সেটা লাগাতার একটার পর একটা বাজেটে ক্রমশঃ স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। খালি এই চিনা ভাইরাসের জন্য আমাদের ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়াটা খামোখা দেড়-দু বছরের জন্য পিছিয়ে গেল, এটাই দুঃখ।

No comments:

Post a Comment