গতকাল ইউটিউবে দেখলাম বৃন্দাবনে শ্রীরাধা কেলিকুঞ্জে বাবা প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে এক মা তাঁর ক্যান্সার রোগগ্রস্ত শিশুকে নিয়ে এসেছেন। বাবা অনেকভাবে সেই দুঃখিনী মাকে প্রবোধ দেওয়ার চেষ্টা করলেন এবং শেষে ভেবে দেখতে বললেন যে এ তো শিশু, এর তো কোনো কর্মফল জমা হয়নি, তাহলে একে কেন এত ভুগতে হচ্ছে? তারপর নিজেই এর উত্তর দিলেন, "इसकी शरीर नवीन है पर ईसके अंदर जो प्राणी है वे प्राचीन है, ये व प्राणी का प्रारब्ध है" - এর শরীর নবীন কিন্তু এর ভেতরে যে প্রাণী আছে সে প্রাচীন, এটা সেই প্রাণীটির প্রারব্ধ। আরো বললেন, যে কোনো কাজ করার আগে ভেবে দেখতে হয় ধর্মত ঠিক পথে আছি কিনা নাহলে ধর্মভ্রষ্ট হওয়ার ফল কোনো এক শরীরকে তো ভুগতেই হবে। আসলে রোজই চোখের সামনে এই সত্যটি ঘটতে দেখি কিন্তু হয়তো তার মর্মকে উপলব্ধি করতে পারিনা। কত রাস্তার কুকুরকে দেখি খেতে পায়না, পা খোঁড়া, গায়ে ঘা, লোকের লাথি ঝাঁটা খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছে, আবার কোনো কোনো কুকুরকে দেখি গাড়ি চড়ে গড়ের মাঠে হওয়া খেতে যাচ্ছে, সকাল সন্ধ্যে আদর খাচ্ছে, নিয়মিত স্নান করিয়ে সুগন্ধ মাখিয়ে গ্রূমিং করা হচ্ছে, এসিতে ঘুমাচ্ছে - দেখি কিন্তু কারই বা মনে হয় যে কুকুরের তো আর মানুষের মতন পাপ করার ক্ষমতা নেই, তাহলে ওদের মধ্যে এই বৈষম্য কেন?
Now, verily, a man consists of will. As he wills in this world, so does he become when he has departed hence. Let him [with this knowledge in mind] form his will. (3.14.1 Chandogya Upanishad)
No comments:
Post a Comment