মানুষে মানুষে মতভেদ থাকতে পারে, মানুষের নিজস্ব বোধ-বুদ্ধিপ্রসূত নানান বিকল্পের মধ্যেও দ্বন্ধ থাকতে পারে কিন্তু অন্তরাত্মার সাথে কেবল একটা মায়ার পর্দার আড়াল ছাড়া আর কিছুই থাকে না। মা সেই পর্দার ঠিক পেছনেই সদাসর্বদা বিরাজ করেন। যতক্ষণ তিনি মানবী ততক্ষণ একরকম আর যখন তিনি দেবী তখন অন্যরকম। গর্ভধারিণী মা যেমন তাঁর নিঃস্বার্থ আপত্যস্নেহের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধের জন্ম দেন ঠিক তেমন করেই জগ্গজননী মহামায়া স্বয়ং শ্রীশ্রীমায়ের মানবীয় রূপ ধারণ করে ধ্যানে হৃদয়াসনে বিরাজমানা হয়ে তাঁর অহেতুকি কৃপার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে সুপ্ত ঈশ্বরত্ববোধের জন্ম দেন। আমরা জন্মদাত্রীর হাত ধরে জাগতকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে শিখে প্রথমে মানুষ হৈ আর তারপর মানুষ থেকে দৈবত্বে উত্তীরণের আধ্যাত্মিক যাত্রাপথে ইষ্টরূপী স্বয়ং জগজ্জননীর বিশেষ কৃপাদৃষ্টিকে অবলম্বন করে অগ্রসর হৈ। ঈশ্বরী বারেবারে মানুষের রূপ ধরেন যাতে তাঁকে দেখে মানুষও ঈশ্বর হয়ে উঠতে পারে, এর চেয়ে বড় দৈবকৃপা আর কিই বা হতে পারে? মা শব্দটি ছোট কিন্তু এত শক্তিশালী মহামন্ত্র বুঝি আর কিছুই নেই। ওঁকার আর মা এক। মা-ই ওঁ, ওঁ-ই মা।
মাতৃদেব ওম তৎ সৎ।
জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদগুরুম।
পাদপদ্মে তয়ো শ্রিত্বা প্রণমামি মুহুমুহুঃ।।
No comments:
Post a Comment