এমনি এমনি তো আর প্রধানমন্ত্রী ওই নতুন কালচক্রের শুরুর কথা বলেননি, উনি অকারণে একটিও শব্দ খরচ করেন না। শ্রীরামকে রাষ্ট্রের চেতনার সঙ্গে জুড়ে যে চারটি কথা উনি বলেছেন, তার মধ্যেই এর অন্তর্নিহিত বার্তা লুকিয়ে আছে, ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন। উনি বলেছেন, "রাম আগুন নন, রাম প্রেরণা। রাম বিবাদ নন, রাম সমাধান। রাম শুধু আমাদের নন, রাম সবার। রাম শুধু বর্তমান নন, রাম অনন্তকাল।" আজ উনি বারেবারে বলেছেন, "দেবতা থেকেই দেশ, আর রাম থেকেই রাষ্ট্রের চেতনা" - বুঝো লোক যে জানো সন্ধান।
রামের রাক্ষসবধ রাজনীতির ক্ষেত্র দিয়ে শুরু হবে আর সমাজচেতনায় গিয়ে শেষ হবে, যার পরে কেন "আমাদের প্রজন্মকে কালজয়ী হিসেবে বাছা হয়েছে" সেটা সারা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। আজ থেকে হাজার বছর পর নরেন্দ্র মোদি অবশ্যই শরীরে থাকবেন না কিন্তু রাষ্ট্রচেতনারূপী শ্রীরাম থাকবেন কারণ "রামমন্দির স্থাপনা শুধুই বিজয়ের নয়, বিনয়েরও"।
একআধবার যে না ভেবেছি তা তো নয় যে কেন মাত্র বছর পঞ্চাশেক আগে জন্মালুম না, শ্রীশ্রীমাকে সশরীরে দেখতে পেতাম, ঠাকুরের সন্তানদের দেখতে পেতাম, রবীন্দ্রনাথকে দেখতে পেতাম, ডাক্তারজিকে দেখতে পেতাম, নেতাজিকে দেখতে পেতাম, ইত্যাদি। মনে হতো হয়ত জন্মজন্মান্তরে এত সুকৃতি জমা হয়নি যে ওঁদের সাক্ষাৎ দর্শন পাবো। আজ বুঝছি সেই ভাবনাটা ঠিক ছিল না, আমার জন্যেও মা এক অনাবিল আনন্দের হাট খুলে রেখেছিলেন।
এই বিশেষ সময়টাতে কেন আমি এই শরীরটায় আছি? নিজের চোখে রামমন্দিরের পুনর্নির্মাণ, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা এবং তদ্পরবর্তীকালে মর্য্যাদা পুরুষোত্তমের আশীর্বাদে ভারতবর্ষের জনমানসে ধর্ম-আধারিত ব্যাপক সদর্থক পরিবর্তন এবং শ্রীজির আশীর্বাদে পুনরায় ভারতের জগৎশীর্ষে আরোহণ স্বজ্ঞানে অনুভব করতে পারবো বলে। এই তো প্রারব্ধ। This life is certainly worth living. জয় শ্রীরাম, জয় জয় শ্রীরাম। যেমন শ্রী অর্থাৎ সীতা ছাড়া রাম অসম্পূর্ণ, তেমনই রাম ছাড়া ভারতও শ্রীহীন, মলিন।
No comments:
Post a Comment