আমি যেমন আশেপাশের মানুষজনকে observe করি, তেমনি যত বয়স বাড়ছে তত আমার নিজের ভেতরে কেমন কেমন পরিবর্তন হচ্ছে সেটাও আমি আজকাল খুব keenly observe করি। আগে যেমন হুট বলতেই সবকিছুতে involved হয়ে যেতাম, এখন কখনো কখনো আসেপাশের কথাবার্তা বা ঘটনার প্রভাব মনের ওপর পড়ে বটে, কিন্তু অনেকসময়ই একেবারে পড়ে না। হয়তো কখনো পরিণত কারো শিশুসুলভ আচরণ দেখে তাৎক্ষণিক রাগ হলো, আবার কখনো হাসি পেলো, কখনো বা আবার মনে কোনো দাগই কাটলো না - সবটাই নির্ভর করে ঠিক সেই সময় মানসিকভাবে আমার পারিপার্শ্বিকের সাথে আমি কতটা attached বা detached আছি, তার ওপর। তবে ভালো মন্দ যাই হোক না কেন, খুব বেশিক্ষন আশেপাশের ঘটনা এখন আর মনেও থাকে না।
লক্ষ্য করে দেখছি increasingly অনেকসময়ই মনের ওপর বাইরের জগতে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার এখন আর কোনো প্রভাব পড়ে না অথবা কম সময়ের জন্য প্রভাবিত হয়ে পড়ি আবার চট করে তার থেকে বেরিয়েও আসি। এও দেখছি যে এর বেশিরভাগটাই এখন নিজের involved হওয়ার ইচ্ছা বা অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। আর একটা পরিবর্তন হয়েছে - এখন আর একেবারেই আগের মতন strong মান অপমান বোধ নেই, বরং অনেকসময়ই কেউ দুর্ব্যবহার করলে আপনেআপই তার জায়গা থেকে তার অশান্তির কারণটা তলিয়ে দেখার চেষ্টা করি আর তার প্রতি genuine compassion অনুভব করি।
আরো একটা ব্যাপার হলো ইচ্ছেমত হট্টগোল থেকে শান্তিতে switch on বা switch off করতে পারা। যতক্ষণ হাটের মাঝে থাকি ততক্ষণ সবকিছুর সাথে জড়িয়ে থাকি আর যেই সেসব কচাকচি আর ভালো লাগে না, একা আমার চিলেকোঠার ঘরে উঠে যাই। যেই ওই familiar surroundings এ পৌঁছে গেলাম অমনি চঞ্চল মনটাকে স্থির করে নিয়ে নিজেকে বাইরের ঝামেলা থেকে মানসিকভাবে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে নিতে আমি শিখে গেছি। এটাকেই surroundings syndrome বলে কিনা জানিনা তবে আমার ক্ষেত্রে এটাকে distortions in perception of time, space, shape, distance ইত্যাদি বা episodes of depersonalization - derealization disorder না বলে heightened awareness and clarity about selfsatisfaction বলাই বোধহয় বেশি উপযোগী।
এছাড়া কি শুনছি বা পড়ছি তার ওপরেও নির্ভর করে সাময়িকভাবে মনের অবস্থানগত পরিবর্তন হয় - যদি শাস্ত্র পড়ি বা আধ্যাত্মিক কোনো লেখা পড়ি বা ইউটিউবে সৎসঙ্গ শুনি, তখন মনকে ঘিরে একরকমের একটা শান্ত স্নিগ্ধ আবরণ গড়ে ওঠে, যে খোলসটি থেকে আর চট করে বেরোতে ইচ্ছে করে না। তখন ফোন বাজলে অস্বস্তি হয়, কেউ ডাকলে avoid করার চেষ্টা করি। আবার যখন অন্য কিছু পড়ি বা গান শুনি বা কোনো শারীরিক কাজ করি বা গল্পসল্প করি, তখন বাইরের sights and sounds খুব স্বাভাবিক বলেই মনে হয় আর তাতে যথোপযুক্তভাবে react করতেও কোনো অসুবিধা হয়না। তবে তারও রকমফের আছে। আমি যেহেতু একবেলা খাই, রাতে আমার সামনে বসে কেউ কোপ্তা কালিয়া মন্ডা মিঠাই খেলেও আমার কিছু যায় আসে না - যা সকালে খুবই রুচিকর তাইই রাতে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়।
যখন আমি পরিচিতদের অনেকেরই মানসিকভাবে একই জায়গায় আটকে থেকে যাওয়া বা আরো বেশি জড়িয়ে পড়ার পটভূমিকায় নিজের ক্রমবর্ধমান গা-ছাড়া ভাব আর নিরুৎসাহের অবস্থাটাকে একটা third person angle থেকে দেখি, বেশ অদ্ভুত লাগে। অন্যরকম বিষয়ের উদাহরণ হলেও, ধরুন আমি মাঝেমাঝে খুব উৎসাহ নিয়ে food vlog দেখি - কে কিরকম নতুন নতুন জিনিষ খাচ্ছেন, কোন নতুন নতুন রান্না হচ্ছে, কি কি নতুন resturant হলো ইত্যাদি দেখতে বেশ লাগে কিন্তু সেগুলোয় যেতে বা নতুন কিছু খেতে, নিজের ভেতর থেকে আজকাল আর তেমন উৎসাহই পাইনা, অথচ এই আমিই এককালে বিরাট বড় foodie ছিলাম। আমি কতটা বদলে গেছি ভাবলে আমার নিজেরই মাঝেমাঝে অবাক লাগে। হয়তো আরো বদলাবো, সে কথা সময়ই বলবে।
No comments:
Post a Comment