অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। সফলতা এবং অসফলতার মধ্যে যদি কোনো অদৃশ্য রেখা থেকে থাকে, তা হলো পরিমিতিবোধ। নিজের যতটা প্রয়োজন ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকো, অন্যের দেখে নিজের চাহিদা এবং মনের অশান্তি বাড়িও না, আর যাতে মন স্বভাবতই শান্ত থাকে, সবসময় মনে একটা contended ভাব থাকে, overall একটা সুখের আবহে বাঁচতে পারো, সেটা করো - অভিজ্ঞতা আমায় এটাই শিখিয়েছে।
কেউ ক্ষমতার পেছনে দৌড়োচ্ছে, একটুখানি adulation পেলে আরো বেশি, আরো বেশি, আরো বেশি পাওয়ার জন্য নিজের বিবেক শরীর মন সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দিচ্ছে - দূর থেকে দেখো কিন্তু জড়িও না। হ্যাঁও না নাও না, নির্লিপ্ত। Judgemental হওয়ার প্রয়োজন নেই, indifferent হয়ে কেবল observe করো but never become a party to it.
কেউ নিত্যদিন নতুন নতুন ভোগ্যবস্তু জড় করছে, ভাবছে এতেই বুঝি সুখভোগ হচ্ছে, কিন্তু কিছুদিন পরেই বুঝতে পারছে যে তার কেনা latest মডেলটাও পুরানো হয়ে গেছে, একদম নতুন কিছু বেরিয়েছে যাতে আরো বেশি features, অর্থাৎ আরো বেশি সুখ - এবার ওগুলো চাই - চাই চাই চাই করে নিজের মাথা নিজেই খারাপ করছে - দেখো এবং শেখো। কি শিখলে? সেধে পাগল হয়ে কাজ কি, এই তো বেশ আছি - অল্পতে বাঁচি, অল্পতে সুখী।
আর জীবন কি শিখিয়েছে? মৃত্যুই একমাত্র নিশ্চিত, বাকিগুলো হতেও পারে নাও হতে পারে। ভোগ হোক বা না হোক, সুখ পাই বা না পাই, পয়সা থাকুক বা না থাকুক, বুড়ো বয়সে ছেলেমেয়েরা দেখুক বা না দেখুক, দেহের মৃত্যু অনিবার্য - the only constant. ফলে, এই যদি মানক হয়, তাহলে তাকে ঘিরে জীবনের content গড়ে তুললেই তো হয়, যাতে খামোখা মরীচিকার পেছনে দৌড়ে না মরা হয়।
স্বামী সোমেশ্বরানন্দজি মহারাজ বলতেন ধ্যান করলে মন শান্ত হয় না, মন শান্ত হলে ধ্যান হয়। আর অশান্ত মনে rational thinking সম্ভব না, ফলে আমার জীবনের উদ্দেশ্য যদি মৃত্যুর পারে যাওয়া হয়, নিজের eternal existence এর স্বাদ পাওয়া হয়, তাহলে প্রথমেই মনকে শান্ত করতে হবে আর সেটা করতে গেলে সমস্ত distraction থেকে তাকে সরিয়ে এনে এই উদ্দেশ্যের ওপর focus করতে হবে। একেই সাধন বলে আর undistracted হওয়ার প্রক্রিয়াটিকে বলে ত্যাগ। নিরাসক্ত হও, অন্তর্মুখী হও, সাধক হও, এদিক ওদিক ছড়িয়ে থেকো না, নিজেকে গুটিয়ে নাও - জীবনে ওঠাপড়ার অভিজ্ঞতা এটাই মানুষকে শেখায়, আমাকেও শিখিয়েছে।
আমার মনটা এখন দুটো ভিন্ন স্তরে বসবাস করে। একটা ওপরের স্তর যেখানে যে পরিবেশে আমার যাপন, তার ছন্দের সাথে আমার responses aligned আর অন্য একটা স্তর যা অন্তরের, যেখানে কেবল আমি আর আমার অনন্তচেতনা। একটা স্তরে আমার বৃত্তি, প্রবৃত্তি আর বাহ্যিক acceptance ও rejection, অন্য স্তরে মনের কপাট শক্ত করে সাঁটা, বাইরের কোলাহল মুক্ত, সেখানে কেবল একাত্মতা ও আনন্দ। আসল মজাটা হলো এইখানেই - বাইরের অসহনীয় পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব ভেতরে একদমই পড়েনা কিন্তু অন্তর্নিহিত প্রবাহমান তৃপ্তিবোধের প্রভাব বাইরেটাকেও বেশ সহনীয় করে তোলে।
No comments:
Post a Comment