ইদানিং ভারত যে দ্রুতগতিতে আবার এক উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার রাস্তায় এগিয়ে চলেছে, তার কারণ কি? কেউ হয়তো বলবেন মোদি কিন্তু আরো একটু গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এটা আবহমান কাল ধরে চলে আসা হিন্দুর আত্মপরিচয়কে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জনসঙ্ঘ এবং পরে বিজেপি মিলে পুনরুদ্ধার করে জনমানসে প্রতিষ্ঠা করানোর ফল।
এর মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসকের বদবুদ্ধির ফসল caste census-এর মাধ্যমে ভারতীয়দের ওপর চাপিয়ে দেওয়া জাতপাতের বিভাজনকে হাতিয়ার করে একটা অতি উন্নত সভ্য জাতিকে দাবিয়ে রাখার যে ষড়যন্ত্র এখনো অবধি চলে আসছে, তার মূলে আঘাত করা হয়েছে। গত দশ বছরে বিজেপি পূর্ণ বহুমতের সরকার গড়তে সক্ষম হওয়ার ফলে এখন জাতপাত, প্রাদেশিক পরিচয় ইত্যাদির ওপরে উঠে অন্তত উত্তরভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে 'আমি হিন্দু' - এই ধারণাটি বেশ জেঁকে বসেছে, যা সমাজের একসাথে একইদিকে এগোনোর জন্য দারুন সহায়ক হচ্ছে, ফলে উন্নতিও দ্রুততর হচ্ছে।
দেশে বিজেপির শাসন যত বেশিদিন বলবৎ থাকবে, একটা overall হিন্দুত্বের আবহ থাকার ফলে তত বেশি দিন বাকি হিন্দু সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলিও তৃণমূলস্তরে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করতে পারবে এবং এই cultural integration আর common identity-র বন্ধন, যাকে 'সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদ' বলা হয়, তা ধীরে ধীরে প্ৰথমে দ্রাবিড় রাজনীতির ভুয়ো বিভাজনের শিকার দক্ষিণ ভারতে এবং পরে সংখ্যালঘুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে।
নিদেনপক্ষে আরো কুড়ি বছর ভারতে বিজেপির একচ্ছত্র শাসন চাই, তারপরে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। তিনশ বছরের অপশাসন, অবনমন, অতিক্রমণ এবং বিভাজনের প্রক্রিয়াকে reverse করতে অন্তত ত্রিশ বছর তো চাই, নাকি? দিশা যেহেতু স্পষ্ট আর একত্রিত হওয়ার ফলও যেখানে হাতে হাতে পাওয়া যাচ্ছে, বহু মানুষ এবার আসল আর নকলের ফারাক বুঝতে পারছেন। এই 'বহু'টা একদিন 'সবাই' হবে। যেদিন হবে সেদিন ভারতবর্ষ জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।
No comments:
Post a Comment