Friday, January 20, 2023
মোদি
যে যা ইচ্ছে ফালতু বকার বকতে থাকুক, ওঁর যা করার উনি মুখ বুজে ঠিকই করে যাবেন কারণ ওনার এই শরীরধারণের উদ্দেশ্য কি, কেন এ দেশে, এই সময়ে ওঁর জন্ম হয়েছে, উনি তা সম্যকরূপে জানেন। এই জানাটা একমাত্র গভীর সাধনা এবং মহাকালকৃপা ও গুরুকৃপা থেকে আসে, যা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্যও নয়। যেদিন উনি থাকবেন না সেদিন আসমুদ্রহিমাচল জুড়ে লোকে ওনার মূর্তি বসিয়ে মালা দেবে, এখন যারা পেছনে লাগছে তাদের কথা তখন কেউ মনেও রাখবে না। এটাই ধ্রুব সত্য। উনি যে ভূমিকা পালন করছেন এবং যে বিরুদ্ধ পরিবেশের মধ্যে থেকে যে ধরণের লোকদের নিয়ে ওঁকে কাজ করতে হচ্ছে, তাতে খানিকটা চাতুরী, খানিকটা নার্সিসিসম দেখানো হয়তো জরুরি, নইলে ওঁর উদ্দেশ্যসাধন হবে না। ওঁর ওই বাইরের রূপটা দেখে এখন অবুঝ বোদ্ধারা যত পারে নেগেটিভ ন্যারেটিভ বানিয়ে যাক, শেষমেশ ওনার কাজই ওনার হয়ে কথা বলবে। ওঁর ভূমিকা ভারতের অন্তরাত্মার পুনরুত্থানের জন্য দৈবনির্ধারিত, যার ইঙ্গিত রামকৃষ্ণ মিশনের পঞ্চদশ সংঘাধ্যক্ষ পরম পূজ্যপাদ স্বামী আত্মাস্থানন্দজী মহারাজ বহুদশক আগেই ওঁকে দিয়েছিলেন। ওঁর মূল্যায়ন করার সঠিক সময় এখনো আসেনি। ওটা সেইদিনই হবে যেদিন ওঁর গড়া সুদৃশ্য জয়স্তম্ভটি সবাইকে ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ওঁর অতুল কীর্তির সাক্ষ্য দেবে আর বিশ্বশুদ্ধু লোকে বিস্ফারিত নেত্রে সেদিকে তাকিয়ে মনে মনে বিস্মিত হয়ে ভাববে, এমনও হয়?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment